গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বছার গ্রাম থেকে অপহৃত সংখ্যালঘু কিশোরী স্কুল ছাত্রী পূজা হালদারের খোজ মেলেনি ১৫ দিনেও। এ ঘটনায় উৎকন্ঠিত কিশোরীর পিতা-মাতা তাদের মেয়েকে উদ্ধারের জন্য থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এজাহার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মাহিলাড়া এ.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী ও বাটাজোর ইউনিয়নের বছার গ্রামের বাসিন্ধা সংখ্যালঘু গনেশ হালদারের সুন্দরী কিশোরী মেয়ে পূজা হালদার (১৫)কে একই গ্রামের সুনীল শিয়ালীর বখাটে ছেলে সুশান্ত শিয়ালী দীর্ঘদিন ধরে নানা কু প্রস্তাব দিয়ে উত্যাক্ত করে আসছিল। এ ঘটনা পূজা তার মা-বাবাকে জানালে তারা বখাটে সুশান্ত শিকারীর বাবা-মা ও আত্নীয় স্বজনকে ঘটনা জানিয়ে সুশান্তকে শাসন করতে বলে আসেন। বখটের বাবা সুনীল শিয়ালী তার বখাটে ছেলে সুশান্তকে শাসন না করে উল্টো ছেলেকে বখাটেপনা করতে সাহস যোগায়। ফলে সুশান্ত বে-পরোয়া হয়ে ওঠে। গত ২৩ জানুয়ারী ভোরে পূজা হালদার তাদের বাড়ির সামনে হাটতে বের হলে পূর্বথেকে সেখানে ওৎ পেতে থাকা বখাটে সুশান্ত শিকারী ও তার সহযোগী সাগর মন্ডল, অনিল শিয়ালীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন লোক জোর পুর্বক পূজাকে একটি মাহিন্দ্রাতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় পূজা ডাক-চিৎকার দিলে তা শুনে স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসার আগেই অপহরণকারীরা মাহিন্দ্রযোগে পূজাকে নিয়ে শটকে পড়ে। এ ঘটনায় পূজার মা পিঞ্জিরা হালদার বাদি হয়ে সুশান্ত শিকারী, সাগর মন্ডল, অনিল শিয়ালীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে গত ২৯শে জানুয়ারী গৌরনদী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী ও অপহৃত কিশোরীর মা পিঞ্জিরা হালদার জানান, ২৩ জানুয়ারী ভোরে পুজাকে অপহরণ করে নিয়ে যওয়ার পর ওই দিনই তাকে উদ্ধারের জন্য গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের দ্বারস্ত হই। থানা পুলিশ আমার মামলা না নিয়ে এ ঘটনায় একটি সাধারন ডাইরি করে রাখে। পূজাকে খুজে না পাওয়ায় ২৯ জানুয়ারী পুলিশ আমার অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে। গত ১৫ দিন ধরে আমি থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। এখন পর্যন্ত তারা আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমার মেয়েটি বেঁচে নাকি তাকে মেরে ফেলে লাশ গুম করেছে তাও বলতে পারছিনা। ভিশন উৎকন্ঠার মধ্যে দিন আটছে আমার। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতাতে তাদের সম্ভাব্য অবস্থানের স্পটগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে তাদের পাওয়া যায়নি। এখন প্রযুক্তি সহয়তা নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply